মেয়েদের জন্য রান্নাঘরের টুকিটাকি টিপস
অনেক সময় নাজেহাল হতে হয় রান্নাঘরে নানান রকম ছোটখাটো চুল ঝামেলা সামলাতে
গিয়ে। প্রতিদিন একবার হলেও রান্নাঘরে সময় দিতে হয় প্রত্যেকটা গৃহিণীকে। এমনও
অনেক কাছ থাকে যেগুলো করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় প্রতিদিন। নারী-পুরুষ উভয়েরই
নির্বিশেষে রান্না করা, কিচেন সামলানো, ফ্রিজ পরিষ্কার, ওভেন পরিষ্কার করতে
কোন না কোন সমস্যার সম্মুখীন হন।
রান্না দ্রুত করতে গেলেও সমস্যা হয় অনেকের। রান্না করা কম ঝামেলার
কাজ নয়। রান্নার প্রস্তুতি থেকে শুরু করে পরিবেশন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছ
এরপর রান্নাঘর পরিষ্কার সব কিছু গোছানো এসব তো আছেই। এতকিছুর পর রান্নার সাহায্য
যদি ভালো না হয় তাহলে মনটাই খারাপ হয়ে যায়। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক
মেয়েদের জন্য রান্নাঘরের টুকিটাকি টিপস সমুহ।
সূচিপত্রঃ মেয়েদের জন্য রান্নাঘরের টুকিটাকি টিপস
মেয়েদের জন্য রান্নাঘরের টুকিটাকি টিপস
মেয়েদের জন্য রান্নাঘরের টুকিটাকি টিপস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হল, একটা
মেয়েকেই কমবেশি রান্না ঘরের ঝামেলা পোহাতে হয়। রান্না করার সময় যদি রান্নাঘর
গোছালো থাকে তাহলে রান্নাই অনেক সুন্দর মনোযোগ পাওয়া যায়। রান্নাঘর এলোমেলো
হয়ে থাকলে রান্নায় কোন মনোযোগ বসেনা। তাই রান্নাঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে
হবে। প্রতিদিন একবার করে হলেও রান্না ঘরে সময় দিতে হয় প্রত্যেকটা রাধুনিকে।
ছেলে মেয়ে উভয় রান্না করলেও রান্না ঘর সামলানো হিসেবে মেয়েরাই বেশি
পারফেক্ট।
মেয়েদের রান্না করে টুকিটাকি টিপসের মধ্যে এগুলো হচ্ছে অন্যতম কিছু টিপস
যেমন,
- পাত্রের কিনারে সামান্য মাখন বা গ্লিসারিন লাগিয়ে দিলে দুধ উথলে পড়ার সম্ভাবনা থাকে না।
- ফ্রিজে একটি পাতি লেবুর টুকরো করে কেটে রেখে দেন দেখবেন ফ্রিজের ভেতরে কোন গন্ধ নেই।
- কিছু কিছু সবজি কাটার পর হাতের কালচে দাগ হয়, গাই কাটার আগে হাতে সরষের তেল অথবা ভিনেগার মিশিয়ে নিলো দাগ হবে না।
- চায়ের কাপে লেগে থাকা বাদামি রঙের দাগ লবণ দিয়ে ঘষলে উঠে যায়।
- পানিতে সামান্য কেরোসিন তেল মিশিয়ে রান্নাঘর মুছলে মশা মাছি ও পিঁপড়ে উৎপাত কমে যায়।
- বাটা মসলা সামান্য তেল ও লবণ মাখিয়ে রেখে দিলে অনেক দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়।
- বাসনপত্রের কয়েক ফোঁটা ভিনেগার ছিটিয়ে দুইয়ে নিলে আষ্টে গন্ধ থাকে না।
- ভাজার জন্য কেটে রাখা বেগুন বেশ কিছুক্ষণ আগে লবণ হলুদ মাখিয়ে রাখলে বাঁচতে তেল কম লাগে।
- পাত্রের পোড়া দাগ উঠাতে পাত্রের গায়ের বেকিং সোডা এবং সামান্য পানি দিয়ে মেখে কয়েক ঘন্টা রেখে পরে ধুয়ে নিলে দাগ নিমিষেই চলে যায়।
- চিনির পাত্রে কয়েকটি লবঙ্গ রাখলে পিঁপড়া আসবে না।
রান্নাঘরের টুকিটাকি সমস্যায় করতে যা পারেন
রান্না ঘরে রান্না করতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এ সমস্যার
হাত থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন ধরনের টিপস অবলম্বন করতে পারেন। এগুলো সমস্যার হাত
থেকে বাঁচা খুবই জরুরী। অনেক সময় দেখা যায় রান্না করতে গিয়ে রান্নাঘর
এলোমেলো, পোকামাকড়ের অত্যাচার, আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। তাই এই সমস্যার হাত
থেকে বাঁচতে নিচে কিছু সমস্যার সমাধান দেওয়া হলো,
- রান্নার সময় সাধারণ হাড়ি পাতিল এর পরিবর্তে প্রেসার কুকার ব্যবহার করুন এতে সময় কম লাগবে।
- আটার ভুষি দিয়ে বাসন মাজলে পরিস্কার ও ঝকঝকে হয়।
- রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষিত খাবার দ্রুত গরম করতে মাইক্রোওয়েভ ওপেন ব্যবহার করুন।
- পেঁয়াজ কাটার আগে দুফালি করে কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রেখে কাটলে তোকে পানি আসে না।
- পরদিন রান্না করার সময় মাংস সেদ্ধ এবং ঠান্ডা করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন।
- ঘরের বাইরের খাবার নিতে হলে যদি সাধারণ টিফিন বক্স ব্যবহার করা হয় তাহলে খাবার বাতাসে ঠান্ডা করে নিতে হবে। কখনোই গরম খাবার বক্সে নেওয়া যাবে না, এতে খাবার গন্ধ হতে পারে।
- ভাত রান্না করার ক্ষেত্রে রাইস কুকার ব্যবহার করুন। রান্না করা খাবার রেফ্রিজারেটরে রাখার আগে বাতাসে ঠান্ডা করে নিতে হবে। গরম খাবার রাখলে রেফ্রিজারেটর নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
- সবজি পরিষ্কার করে কেটে প্যাকেটজাত করে রেফ্রিজারেটরে রাখতে হবে। এতে সময় কম ব্যয় হবে।
- একসঙ্গে একই পাত্রে রাখলে তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।
- রান্নার সময় কোন কিছু মাপার জন্য পরিমাপক যন্ত্র ব্যবহার করুন যেমন কাপ বা চামচ।
- ডিম ফোটানোর সময় সাদা অংশটা আলাদা করার জন্য ফেটানো ডিম ছাঁকনিসহ ফানের মধ্যে ঢুকালে দেখবেন সাদা অংশ নিচে পড়েছে এবং কুসুম ওপরে রয়ে গেছে।
আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে হাতের কাজ করে ইনকাম
গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় কিছু টুকিটাকি টিপস
প্রত্যেকটা মেয়ে চাই তা রান্নাঘর সুন্দর ও পরিপাটি হয়ে থাকুক। সহজ ও সুন্দর
রান্নার জন্য ঘরোয়া টিপসের কোন বিকল্প নেই। বারবার টিপস গুলো রান্নার সময়
বাজায় এবং পরিবেশকে গড়ে তোলা আকর্ষণীয়। তাহলে চলুন জেনে নেই দৈনন্দিন গৃহস্থলীর
জন্য প্রয়োজনীয় কিছু ঘরোয়া টিপস।
- তেলে আচার ডুবিয়ে রাখলে আচারে ফাঙ্গাস পড়ে না অথবা আচার তৈরি করার সময় তেল তেলে একটু ভিনেগার মিশিয়ে নিলে আজার অনেক দিন ভালো থাকে।
- ঘন ঘন খুললে ও বন্ধ করলে ভেতরে বাতাস ঢুকে খাবার নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং বিদ্যুৎ খরচ বেশি হয় তাই বারবার না করার চেষ্টা করতে হবে।
- একসাথে অনেক রসুন ছাড়াতে সময় বেশি লাগে আজ তো রোশন ফুটন্ত জ্বলে মিনিট দুয়েক ভিজিয়ে রাখলে বসলে উপরে খোসা তাড়াতাড়ি ছেড়ে যায়।
- ঘরের বাইরের খাবার নিতে হলে যদি সাধারণ টিফিন বক্স ব্যবহার করা হয় তাহলে খাবার ঠান্ডা করে নিতে হবে এতে করে খাবার গন্ধ হবে না।
- রান্না করা খাবার রেফ্রিজারেটরে রাখার আগে বাতাসে ঠান্ডা করে নিতে হবে। গরম খাবার রাখলে রেফ্রিজারেটর নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
- বাজার থেকে কেনা যে কোন পাকা ফল খাওয়ার আগে অন্তত আধঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে নেওয়া উচিত। কারণ বেশিরভাগ ফল পাকানো ও সংরক্ষণের জন্য ফরমানের ব্যবহার করা হয়।
- মাংস রান্না করার জন্য রেফ্রিজারেটর থেকে নরমালে বরফ গলির বেশিক্ষণ বাইরে রাখা যাবে না তাতে গরমে সেগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
- পোলাও বা খিচুড়ি অথবা চাইনিজ রাইস তৈরির জন্য চালে সামান্য তেল, পেঁয়াজ, লবণ ও সবজি মিশিয়ে রাইস কুকারে দিন। ৫ মিনিটে রান্না হয়ে যাবে আপনার সুস্বাদু মজাদার খাবার।
- কোন কিছু ওভেনে বেক করার জন্য অ্যালুমিনিয়াম পাত্রের তলায় একটু বাটার বাধি ছিটিয়ে দিন। দেখবেন খুব সহজে বের করা খাবার বের করতে পারবেন ও ফ্লেভারটা ভালো হবে।
- পরোটা নরম রাখার জন্য ময়দা গরম করে পানি বা টক দই দিয়ে মেখে পাতলা কাপড় দিয়ে কিছুক্ষণ জড়িয়ে রাখুন দেখবেন খুব সুন্দর নরম ও মজাদার হয়েছে।
- প্রতিভা পরোটা বেলার সময় আটা জড়িয়ে যায়। ঠান্ডা করুন তাহলে বেলুন দিয়ে বেলার সময় আর জড়াবে না।
১৩ টি দারুন রান্নাঘরের টুকিটাকি টিপস
মেয়েরা কম বেশি সকলেই রান্না করে থাকে।, রান্না করতে গিয়ে কোনরকম ঝামেলা পোহাতে
হয়নি এমন মানুষ খুব কমই দেখা যায় বললে চলে। বা ঝাল বেশি হয়ে যাওয়া থেকে শুরু
করে বিস্তারে কিছু ভিজতে গিয়ে সে মসলা বাইরে থমকে পরে পরিষ্কার করা অবধি সব
রকমের ঝামেলা পোহাতে হয় এক রাঁধুনিকে। কি হলো? ভাবতে ভয় করছে? বেশি চিন্তা
করবেন না আর এই আলোচনার মধ্যে আমরা জানবো কিভাবে রান্না করে টুকিটাকি সমস্যা
সমাধান করা যায়।
টিপসঃ ০১
১। আলু সেদ্ধ করে খোসা ছাড়াতে অনেক বিরক্ত লাগে সকলেরই। তাই এখন থেকে আলু সেদ্ধ
করার সময় একটু নুন দিয়ে নেবেন জলের মধ্যে তাহলে দেখবেন অনেক সহজে আলোর খোসা
ছাড়ানো যাচ্ছে।
টিপসঃ ০২
২। পনির ভাজার সময় কড়াইতে বা প্যানেল লেগে যায় অনেক সময়। তেল খুব গরম করে
অথবা 21 চামচ জলে প্রথমে পনির নেড়ে তারপর তেল দিয়ে দেখবেন আর লেগে যাবে না।
টিপসঃ ০৩
৩। পনির ভাজলে কি ভীষণ শক্ত হয়ে যায় খেতে বিশাল লাগে? এবার থেকে পনির ভেজে
টুকরোগুলো নুন জলে ভিজিয়ে রাখুন দেখবেন পনির কি সুন্দর নরম থাকবে।
টিপসঃ ০৪
৪। মটরশুটি কিংবা পালং শাক কুকারে সেদ্ধ করলে সবজিগুলো নিজস্ব রং কোথায় যেন
হারিয়ে যায তাই না? সিদ্ধ করার সময় এবার থেকে সামান্য চিনি মিশিয়ে নেবেন
জলের মধ্যে তাহলেই আর সবুজ রং ফ্যাকাসে হয়ে যাবে না।
টিপসঃ ০৫
৫। ডাল সেদ্ধ হলে ফেনা ফেনা জল বেরিয়ে পুরো প্রেসার কুকার সমেত গ্যাস নোংরা
হয়? ব্যাপারটি অনেক বিরক্ত কর। তাই ডাল সিদ্ধ করার আগে পুকারে অল্প তেল
দিয়ে দেবেন তাহলে আর ফেনা সময় জল বেরিয়ে আসতে পারবে না।
টিপসঃ ০৬
৬। খাবারে কেমন বেশি হয়েছে এখন তার উপায় কি? রান্না সময় একটুখানি দুধ
মিশিয়ে দিন নুন বেশি হবে না হয়ে থাকলে সেটা কেটে যাবে।
টিপসঃ ০৭
৭। খাবারের ঝাল বেশি হয়েছে ওরে বাপরে খাওয়ার উপায় তো থাকবেই না বরং অতিথি এলে
খুব বাজে পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। এর থেকে মুক্তির উপায় রান্নাতে ঝাল বেশি হলে
একটি আলু কেটে সেদ্ধ করে তরকারিতে দিয়ে দিন। আলো ঝাল ভাব টেনে নেবে।
টিপসঃ ০৮
৮।চিনির কৌটাতে পিঁপড়ে ভীষণ ঝামেলা তাই না? কয়েক টুকরো লবঙ্গ রেখে কৌটার
মুখ বন্ধ করে দিন। কিছুক্ষণ পরে দেখবেন পিঁপড়ে উধাও।
টিপসঃ ০৯
৯। রুটি বানালেই কি সেই রুটি শক্ত হয়ে যাই, দাঁত দিয়ে ছেরা যাই না? গরম পানি দিয়ে
আটা মেখে নিয়ে কিছুক্ষনের জন্য রেখে দিতে হবে। তাহলেই দেখবেন রুটি বানানোর পর আর
রুটি শক্ত হবে না।
টিপসঃ ১০
১০। চালের বউটাতে পোকা এটি একটি ভিশন সাধারণ সমস্যা। এদের না দাঁড়ালে জাল খেয়ে
চালে সব গুণ নষ্ট করে ভাত বিষাদ করে তোলে। এটা থেকে বাঁচার উপায় হল, তারের
কৌটাতে কয়েকটি গোটা শুকনো লঙ্কা রেখে দেখুন আর বোকা আসবেনা।
টিপসঃ ১১
১১। মিক্সার এর ব্লেন্ডার ধার একটা সময় পড়ে কম আসে স্বাভাবিক নিয়মে কিন্তু
বারবার তো আর মিক্সার কেনা সম্ভব না। কি করতে পারেন তাহলে? কয়েক ফোটা নুন দিয়ে
ফাঁকা মিক্সার একবার ঘুরিয়ে দিন দেখবেন কিছুটা ধার ফিরে এসেছে।
টিপসঃ ১২
১২। নারকেল কুরতে বড্ড কষ্ট হয় হাতে ব্যথা হয়ে যায় তাই না? কিন্তু নারকেল
ছাড়া যে কোন সুস্বাদু খাবার হয় না। নাড়ু থেকে শুরু করে চিংড়ি মাছের
মালাইকারিও নারকেল কোরাছাড়া বানানো সম্ভব না। তাই চিন্তা নেই। নারিকেল ভেঙে
কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে তারপর পুড়িয়ে নিন সহজেই সম্ভব হবে বেশি কষ্ট করতে হবে
না।
টিপসঃ ১৩
১৩। দুধ গরম করতে গিয়ে দুধ উঠলে গ্যাস নোংরা হওয়ার ব্যাপারটা খুবই স্বাভাবিক
এবং বিরক্তকর। কিছুটা নুন সরিয়ে এত হালকা গরম জলে ভিজে কাপড় দিয়ে মুছে নিন
দেখবেন খুব সহজে আপনার গ্যাস পরিস্কার হয়ে গেছে।
আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম
সুস্বাদু রান্নার জন্য কিছু কৌশল
অনেকেই মনে করেন রান্না মানেই সবজি বা মাছ মাংস মসলা যোগ করা বিষয়টা তা নয় বরং
খাবারের তেল মসলা মিষ্টি লবণ সবই পরিমাণ মতো প্রয়োজন। এছাড়া গুরুত্ব দিয়ে দিতে
হবে রান্নার কৌশলে। তবেই সুস্বাদু খাবার বানানো সম্ভব। সেই সঙ্গে কোন খাবারে
কিভাবে রান্না করলে সাদ এবং পুষ্টি গুণ বাড়বে সে বিষয়েও জেনে রাখা জরুরী। জেনে
নিন রান্নার কিছু কৌশল কিভাবে তরকারি তো অতিরিক্ত লবণ কমানো যাই।
তরকারিতে লবণ কমানোর উপায়ঃ আপনি যদি রান্নার ক্ষেত্রে নতুন হন তাহলে অনেক
সময় আপনার পরিমান ভুল হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। সে ক্ষেত্রে খাবার অতিরিক্ত লবণ
যোগ করা স্বাভাবিক। রান্নায় অতিরিক্ত লবণ হলে দুধ বা মালাই যোগ করতে পারেন
এতে লবণাক্ত ভাবটা কমে যায়। তা না হলে ঝটপট একটা আলু ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে
রান্নায় দিয়ে দিন। এবার্থে আলো অতিরিক্ত লবণ শুষে নেবে। এতে লবণ হবে না। আর
স্বাদ ঠিকঠাক মত থাকবে।
ঝাল বেশি হলে যা করবেনঃ রান্নায় অনেক সময় ঝাল বেশি হয়ে যায়। এমন হলে ঝাল
কাটাতে লেবুর রস দিতে পারেন কয়েক ফোঁটা। কয়েকটা আলু টুকরো করে কেটে দিতে পারেন
ঝোলে। তাহলে আলু সেদ্ধ হওয়ায় তরকারি থেকে ঝাল টেনে নেবে। দুধ বা টক দইও দিতে
পারেন। এতেও ঝাল অনেকটা কমবে। এছাড়া বাদাম বাটার চোখ করলেও ঝাল কমে যায়।
ফুটন্ত পানিতে তেল যোগ করুনঃ এমন অনেক জিনিস আছে যা আগে সিদ্ধ করা হয়।
সেদ্ধ করার সময় একটি সাথে আরেকটি লেগে যায়। যেমন, পাস্তা, নুডুলস
ইত্যাদি। এসব জিনিস সেদ্ধ করার সময় কিছু তেল যোগ করুন। তাহলে আটকে জমে থাকবে
না। এবং ভালোভাবে সেদ্ধ হবে। কোনটা সঙ্গে কোনটা লেগে যাবে না।
রান্না করার সময় কিছু টুকটাক টিপস
রান্না করার সময় টুকটাক টিপস জানা থাকলে রান্না করা ভালো হয় সুরক্ষা থাকা যায়
এবং সময়ও খানিকটা বেঁচে যায়। রেসিপি দেখে রান্না করতে হলে রান্নাঘরে যাবার আগে
রেসিপিটা প্রিন্ট করে নিতে হয়। তাই মেয়েদের জন্য রান্নাঘরের টুকিটাকি টিপস নিয়ে
নিচে কিছু সংক্ষিপ্ত আলোচনা।
মাছ রান্না করে হাতের কাছে কাঁচা ধনিয়া পাতা থাকলে তার কুচি করে কেটে বিছিয়ে
দিন ২০০ গুণ বেড়ে যাবে।
ডালে বাগার দিতে হবে রসুন কুচি তেলে ভেজে ডালে দিয়ে দিতে হবে এবং মাংস জাতীয়
রান্না করে শেষে বেরেস্তা পেঁয়াজকুচি ভাজি দিয়ে দিন সাধ অনেকটা বেড়ে যাবে।
ডিম সিদ্ধ করতে পানিতে সামান্য লবন দিন। ডিম খেতে সুস্বাদু হবে এবং গরম
অবস্থায় ডিম চিলবেন না ঠান্ডা করেছিলেন এতে খোসায় লেগে ডিম নষ্ট হবে না।
যে কোন মাছ ভাজতে কড়াই থেকে একটা নির্দিষ্ট দূরে থাকুন। মাছের পানি থাকলে
কিংবা ফুটে আপনার গায়ে চোখে তেলের সিট কাপড় পড়তে পারে। সাবধানে কাজ করবেন
দূর থেকে নাড়ুন।
শুকনা মরিচ ভাজলেই বা পোড়ালে বাতাসে একটা ঝাল তৈরি হয় এতে হাসি কাশি এসে
নাস্তানাবুদ অবস্থা হতে পারে। ভাজার সময় রান্না ঘরে দরজা জানালা ভালো করে খুলে
দিন প্রয়োজনে এডজাস্টার ফ্যান থাকলে তা চালিয়ে দিন।
ভাদিতে তেল বেশি পড়ে গেলে ভাজি করায় ফ্যানের একদিকে সরিয়ে করায় বা প্যান্ট
কাত করে রেখে দিবেন১৫/২০ মিনিট। তারপর ওই কাজ করা অবস্থাতে ভাজি গুলো বাটিতে
নিয়ে নিবেন আর ওই বাড়িতে ব্যবহার করতে পারবেন।
এলা সম্পূর্ণ বুড়ো করে ব্যবহার করা ভালো গোটা এলাচ কামড়ে পড়লে খাওয়ার মজাই
নষ্ট হয়ে যায়। আবার এ প্লাস ভালো করে না ফাটালে তো সুগন্ধই হবে না এই টিপসটি
অবলম্বন করতে পারেন অনেকেই করে থাকেন।
সবজির রং ঠিক রাখতে ঢাকনা দিয়ে জাল না দেওয়াই ভালো। আর কিছু সবজি আছে যাদের
সামান্য সিদ্ধ করে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে কিংবা বরফ কুচিতে রাখলে
রান্নার বড় রং ঠিক থাকে। তবে সবজির রং ঠিক রাখতে সামান্য পরিমাণ চিনি দিয়ে
দিতে পারেন।
যদি তেলাপিয়া মাসে কোন গন্ধ থাকে তবে তেলাপিয়া মাছ হলুদ ও ভিনেগার বা লেবুর
রস মাখিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে নিলে গন্ধ থাকে না। ১/২ বার লবণ দিয়ে
ভালোভাবে মাখিয়ে নিতে হবে তারপর ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে করে মাছের গন্ধ ও ময়লা
দুটোই কেটে যায়।
লাল সরষে তিতা বা ঝাজ বেশি হয়। হলুদ সর্ষে ব্যবহারে তিতা হয় না। সরষে বাটার
সময় আর কাঁচামরিচ একসাথে বাটলে তেমন তিতা লাগে না।
আরো পড়ুনঃ প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের যত্ন
শেষ কথাঃ মেয়েদের জন্য রান্নাঘরের টুকিটাকি টিপস
মেয়েদের জন্য রান্নাঘরের টুকিটাকি টিপস নিয়ে ওপরে যে আলোচনাটি করা হয়েছে তা
মূলত ঘরোয়া রাধুনিদের জন্যই। আশা করি সম্পূর্ণ লেখাগুলো পড়লে আপনি অনেক উপকৃত
হবেন। যদি কোথাও কোন কথা বুঝতে আপনার সমস্যা হয় তাহলে যোগাযোগ করতে পারেন।
প্রতিদিন একবার হলেও রান্না ঘরে সময় দিতে হয় প্রত্যেকটি রাঁধুনিকে। এমন অনেক
কাজ আছে যেগুলো করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় রাধুনীদের। জন্য নিয়ে আসা
হয়েছে রান্নাঘরে টুকিটাকি কিছু টিপস। যা সময় বাঁচাবে এবং খুব দ্রুত
কাজ করতে সাহায্য করবে। রান্না করার কাজ খুব সহজ মনে হলেও অনেক ঝামেলা পোহাতে
হয়। তাই ছোটখাট কিছু টিপসের মাধ্যমে যদি খুব সহজেই ঝামেলা মুক্ত হওয়া যায়
তাহলে তো খুবই ভালো। তাই আপনাদের জন্য সহজে কিভাবে রান্না করে টুকটাক ঝামেলা
মুক্ত থাকা যায় এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url