মে দিবস কবে কোথায় প্রথম পালিত হয়

মে দিবস কবে কোথায় প্রথম পালিত হয় এই বিষয় সম্পর্কে অনেকেই অজানা। তাই আপনি যদি মে দিবস সম্পর্কে জানতে চান তাহলে পুরা আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন মনোযোগ দিয়ে। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে মেয়ে দিবস সম্পর্কে। আমরা সকলেই কমবেশি এটা জানি যে পহেলা মেয়ে মানে শ্রমিক দিবস।

বিশ্বের অনেক দেশেই মেয়েদের বা পহেলা মে পরিচিত প্রাচীন এক বসন্তের উৎসব হিসেবে কিন্তু বর্তমানে এটা বেশি পরিচিত শ্রম দিবস বা আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে বিশ্বজুড়ে শ্রমিকদের ঐতিহাসিক সংগ্রাম ও অর্জনের কথা মনে করিয়ে দিতে দিনটি পালিত হয়ে থাকে। তাই চলুন মে দিবস বা শ্রম দিবস সম্পর্কে সম্পূর্ণ আলোচনা পড়া যাক।

পেজ সুচিপত্রঃ মে দিবস কবে কোথায় প্রথম পালিত হয়

মে দিবস কবে কোথায় প্রথম পালিত হয়

মে দিবস কবে কোথায় প্রথম পালিত হয় তা হলো, দক্ষিণ ইউরোপে প্রথম মে দিবস পালনে এগিয়ে আছে। স্লোভেনিয়ান এবং ক্রোয়াটরা যারা সে সময় অস্ত্র হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। কাজের নিচু পরিবেশ অল্প বেতন এবং দীর্ঘ কর্ম ঘন্টার প্রতিবাদে ১৮৯৩ সালে সার্বিয়ার শ্রমিকরা এক মে দিবস বের করে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে শ্রমিক ও ইউনিয়নগুলো আরো ভালো কাজের পরিবেশের দাবিতে মে দিবস ঘিরে রেলি ও সমাবেশ করে। বেকারত্ব ও দারিদ্রতার সাথে লড়াই শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়টি এখনো গুরুত্বের সাথে দেখা হয়ে থাকে।

 বেকারত্ব কমলেও এবং কাজের ক্ষেত্রে ঐতিবাচক পরিবর্তন আসলেও আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন আই এল ও তাদের ২০২৪ সালের প্রতিবেদন বলেছে, বেশিরভাগ জি ২০ দেশে গত বছরের মুদ্রা স্থিতির সাথে তাল রেখে মূল বেতন ভাতা দিতে পারেনি আইএলও বলেছে গত বছর ক্রয় ক্ষমতা পিপিপি অনুযায়ী চরম দারিদ্র সীমায় থাকা শ্রমিক যাদের আয় দিনে ২-১৫ ডলারেরও কম তাদের সংখ্যা বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০ লাখ বেড়ে গিয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় মে দিবস বা শ্রম দিবস পালন করা হয়। সেখানে মে দিবসের দিন সরকারি ছুটি হিসেবে পালন করা হয়ে আসছে।

প্রতিবছর কাজের পরিবেশ আরো ভালো করা এবং ট্রেড ইউনিয়নকে আরো শক্তিশালী করার দাবিতে বিশ্বজুড়ে এদের নানা প্রতিবাদ কর্মসূচি হতে দেখা যায়। শুরুর দিকে এই দিবসটি বিভিন্ন সামাজিক ও সমাজতান্ত্রিক সংস্থা এবং শ্রমিক সংগঠন গুলো পালন করতো। যদিও এই দিবসের পেছনে আসল প্রতিবাদটি হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে, কিন্তু সেখানে এটি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সোমবার পালন করা হয়ে থাকে।

আরো পড়ুনঃ ১৫ আগস্ট শোক দিবস সম্পর্কে 

মে দিবস কিভাবে শুরু হয়?

১৮৮৬ সালে ব্রিটিশ সমাজ সংস্কারক রবার্ট ওয়েন এর এক চিন্তা থেকে, যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ট্রেড ইউনিয়ন গুলো দিনে আট ঘন্টা কাজের দাবিতে এক বিরাট প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করে। রবার্ট ওয়েন ৮ ঘণ্টা কাজের দাবি পূরণে স্লোগান ঠিক করেন ৮ ঘন্টা কাজ ৮ ঘণ্টা বিনোদন এবং আট ঘন্টা বিশ্রাম। সবচেয়ে বড় আন্দোলনটা হলো পহেলা মে শিকাগোতে, যেখানে প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিক সমবেত হন। সে সময় কারখানায় কোন নির্দিষ্ট কর্ম ঘন্টা বা বিশ্রাম ছাড়াই টানা কাজ করে যাওয়াটা স্বাভাবিক ছিল। আর সে সময় শিকাগো ছিল যুক্তরাষ্ট্রের শিল্প কারখানা ও ইউনিয়ন সংগঠনগুলোর কেন্দ্র।

পরবর্তী কয়েক দিনে আন্দোলনকে ব্যবসায়ী ও রাজনীতি মহল পছন্দ না করলেও আরো হাজার হাজার ক্ষুদ্র শ্রমিক ও আন্দোলনে যুক্ত হতে থাকেন। এ সময় কিছু অনয় রাজ্য বাদীও এতে যোগ দেন যারা কোন রকম নিয়ম ও আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সামাজিক কাঠামো শিকার করেন না। পুলিশে নিষ্ঠারতাই ক্ষুদ্র ও উত্তেজিত বিক্ষোভকারী এবং শ্রমিক নেতারা পরদিন ৪ই মে শিকাগোর বিখ্যাত হে মার্কেট স্কয়ারে কর্মসূচির ডাক দেয়। এ সময় আজও পরিচয় জানতে না পারা এক ব্যক্তি পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়েন।

এই ঘটনা পরে ি পায় হে মার্কেট ম্যাসাকার হিসেবে। পরবর্তীতে আটজন নৈরাজ্যবাদী খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত হন এবং তাদের দোষ ঠিক ভাবে প্রমাণের আগেই তাদের অনেকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। এ ঘটনা গুলো স্মরণে, ১৮৬৯ সালে সমাজকরমি, শ্রমিক নেতা ও ট্রেড ইউনিয়নগুলো এক আন্তর্জাতিক কংগ্রেসে পহেলা মে তারিখ মে দিবস পালনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

১ মেয়ে কেন শ্রমিক দিবস?

এই দিবসের সূচনা মূলত আজ থেকে ১২৭ বছর আগে আমেরিকান সমাজের। 1886 সালে এক মেয়ে আমেরিকাতে শুরু হয় শ্রমিক আন্দোলন। অধিকার আদায়ের শিকাগো শহরে হে মার্কেটের শ্রমিকরা সেদিন পথে নেমেছিলেন। কারণ এই সময় দিনে ১৫-১৬ ঘন্টা কাজ করতে হতো একজন শ্রমিককে। কিন্তু বিনিময়ে পারিশ্রমিক ছিল খুবই স্বল্প, তা তাদের জীবন ধারণের পর্যাপ্ত ছিল না। এ নিয়ে ধীরে ধীরে ক্ষোভ সৃষ্টি হতে থাকে তাদের মনে। সেই ক্ষোভ এই বহিঃপ্রকাশ এ আন্দোলন।

১৮৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে একদম শ্রমিক মালিকপক্ষকে দৈনিক 8 ঘণ্টা কর্ম সময় নির্ধারণের দাবি জানান। এই দাবি পূরণের সময় হিসেবে ১৮৮৬ সালের ১ মে কে নির্ধারণ করেন শ্রমিকরা। কিন্তু কারখানার মালিকরা শ্রমিকদের এ দাবি কানে তোলেন নি। পরবর্তীতে ১৮৮৬ সালের ৪মে শিকাগো হে মার্কেটের শ্রমিকদের বিক্ষোভের সময় হঠাৎ পুলিশের ওপর বোমা হামলায় নিহত হন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। তাৎক্ষণিক এ ঘটনার ক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করে পুলিশ। নিহত হন প্রায় ১০-১২ জন শ্রমিক। আহত হয়েছিলেন বহু।

এ ঘটনা দুই বছর পর 1879 সালে প্যারিসে ফরাসি বিপ্লবের ১০০ বছর পূর্তিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক এর প্রথম কংগ্রেসে শিকাগো শ্রমিক আন্দোলনের দিনটিকে ১৮৯০ সালে থেকে পালনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। ১৮৯১ সালে অনুষ্ঠিত সেই থেকে শ্রমিকদের কাজের সময়সীমা দিনে 8 ঘণ্টা করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি এই দিনটিকে শ্রমিক দিবস হিসেবে পালন করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই দিনে ছুটির কথাও বলা হয়। সেই থেকে আজও মে মাসের প্রথম দিনটিকে মে ডে বা শ্রমিক দিবস হিসেবে পালিত হয়।

মে দিবস সম্পর্কে ৫টি তথ্য
১। ১৮৮৬ সালের ১ মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের শ্রমিকেরা ৮ ঘন্টা কর্ম দিবসের দাবিতে নিজেদের রক্ত দিয়েছিলেন। সেই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস তথা মে দিবস পালন করা শুরু হয়।

২। ১৮৮২ সালের ৫ সেপ্টেম্বরেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক তাদের অধিকার নিশ্চিন্তের দাবিতে নিউইয়র্কে শহরের সমাবেশ করেছিলেন। সেখানেও বেশ ভালো রকম আন্দোলন হয়েছিল।

৩। যুক্তরাষ্ট্রে আন্দোলন ও হতাহতের ঘটনা ঘটলেও শ্রমিক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয় ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে, সেটা ১৮৮৯ সালে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক কংগ্রেসে। 

৪। বিশ্বের ৯০টি দেশে সরকারিভাবে মে মাসের প্রথম দিনটিকে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। কিছু কিছু তথ্যে জানা যায় ৮০টি দেশেও সরকারিভাবে মে দিবস পালন করা হয়।

৫। ১মে যুক্তরাষ্ট্র শিকাগো শহরের শ্রমিক আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের উৎপত্তি হলেও যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিক দিবস হিসেবে পালিত হয় সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সোমবার।

মে দিবস সম্পর্কে পাঁচটি তথ্যের মধ্যে আমরা জানতে পারলাম মে দিবস কবে কোথায় প্রথম পালিত হয়। এবং বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন হয়, সেখানে কিছু দেশ উল্লেখ রয়েছে তা হলো, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ইত্যাদি। সেই থেকে শ্রমিকদের কাজের সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। এবং ১মে শ্রমিক দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সাথে এ দিনটিতে ছুটির জন্য ঘোষণা দেওয়া হয়।

আরো পড়ুনঃ ১৬ ডিসেম্বার বিজয় দিবস সম্পর্কে

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের ইতিহাস

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস ১০-৭ এর মেয়ে দিবস নামে পরিচিত। প্রতিবছর ১ মে তারিখে উদযাপিত হয়। এটা আন্তর্জাতিক শ্রমিক আন্দোলনের উদযাপন দিবস। পৃথিবী বিভিন্ন দেশের শ্রমজীবী মানুষ এবং শ্রমিক সংগঠন সমূহ রাজপথে সংগঠিত ভাবে মিছিল ও শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। ভারত ও বাংলাদেশ সহ বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশে ১মে জাতীয় ছুটির দিন। আরো অনেক দেশ জুড়ে এই দিনটি পালন করা হয়।

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের ইতিহাস বলতে , ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকান শিকাগো শহরের হে মার্কেটে ম্যাসাকার শহীদদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে পালিত হয়। সেদিন দৈনিক আট ঘন্টার কাজের দাবিতে শ্রমিকরা হে মার্কেটে জামায়েত হয়েছিল। তাদেরকে ঘিরে থাকা পুলিশের প্রতি এক অজ্ঞাত নামার বোমা নিক্ষেপের পর পরিশ্রমিকদের ওপর গুলি বচন শুরু করে। এর জন্য প্রায.১০-১২ জন শ্রমিক ও পুলিশ নিহত হয়।

 ১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি বিপ্লবের শতবার্ষিকীতে প্যারিসে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক প্রথম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে শিকাগো প্রতিবাদের বার্ষিকী আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন দেশে পালনের করেন রিমান্ড লেভেনে। ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে আন্তর্জাতিকের দ্বিতীয় কংগ্রেসে এই প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়। এরপর পরপরই ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে মেয়ে দিবসের দাঙ্গার ঘটনা ঘটে। পরে ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে আমস্টার দাম শহরে অনুষ্ঠিত সমাজতন্ত্রীদের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এই উপলক্ষে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়।

প্রস্তাবে দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের সময় নির্ধারণের দাবি আদায়ের জন্য এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্বজুড়ে পহেলা মে তারিখে মিছিল ও শোভাযাত্রা আয়োজন করতে সকল সমাজবাদী গণতান্ত্রিক দল এবং শ্রমিক সংঘের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সেই সম্মেলনে শ্রমিকদের হতাহতের সম্ভাবনা না থাকলে সকল শ্রমিক সংগঠন মে মাসের ১ তারিখে বাধ্যতামূলকভাবে কাজ না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

অন্যান্য দেশ ও মে দিবস পালন করে

শিকাগোর এই সংঘাত পরবর্তী কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন বামপন্থী দল গুলোর জন্য প্রেরণা হিসেবে কাজ করতে থাকে। দক্ষিণ ইউরো প্রথম মে দিবস পালনে এগিয়ে আসে ক্লোভেনিয়ান এবং ক্রোয়াট্রা যারা সেসময় অস্ট্রো-হাঙ্গেরীয়ান সম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। কাজের নিচু পরিবেশ এবং অল্প বেতন দীর্ঘ কর্ম ঘন্টার প্রতিবাদে ১৮৯৩ সালে সার্বিয়ার শ্রমিকরা ১মে দিবসেরালি বের করে।, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর যখন দ্রুত শিল্প কারখানার উন্নতি করতে থাকে তখন রাশিয়ার সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পরও বিশ্ব জুড়ে শ্রমিকরা মৌলিক চাহিদা পূরণে সংগ্রাম করতে থাকে। 

বিভিন্ন দেশ জুড়ে মে দিবস পালন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ইউরোপ, আমেরিকা, ভারত, বাংলাদেশ সহ বিশ্বের আশিটি দেশে মে দিবস পালন করা হয়ে থাকে। জার্মানিতে ১৯৩৩ সালে নাৎসি পার্টি ক্ষমতায় আসার পর শ্রমিক দিবসের দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। একই সাথে এই ছুটি ঘোষণার সাথে সাথে ফ্রি ইউনিয়ন তুলে দেওয়া হয় এবং জার্মানি শ্রমিক আন্দোলন থামিয়ে দেওয়া হয়। যদিও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আবারো ট্রেড ইউনিয়ন গঠিত হয়।

বিভিন্ন দেশ যেমন কিউবা, সে সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং সিমে বছরের পর শ্রমিক দিবস পালন হয়ে এসেছে এবং এ দিনে ছুটিটা খুব গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হয়। সাধারণত এ দিন বিরাট সমাবেশের আয়োজন করা হতো, যেমনটা মস্কোর রেড স্কয়ারে দেখা যেত। সে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও রাষ্ট্রের শীর্ষ ব্যক্তিরাও যোগ দিতেন। এদিনে একই সাথে ছবি এর সামরিক বাহিনীর প্রদর্শন করা হতো। সমাজতান্ত্রিক ফেডারেল শ্লোভিয়ার গল্পটা ও ছিল একই রকম।

আরো পড়ুনঃ আন্তর্জাতিক মাতৃ ভাষা দিবস কবে

শেষ কথাঃ মে দিবস কবে কোথায় প্রথম পালিত হয়

মে দিবস কবে কোথায় প্রথম পালিত হয় ইতোমধ্যে আমরা একাউন্টেন্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। দক্ষিণ ইউরোপে প্রথম মে দিবস পালনে এগিয়ে আছে ক্লোভেনিয়ান এবং ক্রোয়াটোরা। যারা সেসময় অস্ট্রো-হাঙ্গেরীয়ান সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। নিচু কাজ, স্বল্প বেতন এবং দীর্ঘকর্ম ঘণ্টার প্রতিবাদে ১৮৯৩ সালে সার্বিয়ার শ্রমিকরা ১মে দিবস রেলি বের করে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে শ্রমিক ও ইউনিয়ন গুলি আরো ভালো কাজের পরিবেশের দাবিতে মে দিবস ঘিরে রেলি ও সমাবেশ করে। বেকারত ও দারিদ্রতার সাথে লড়াইয়ের শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়টি এখনো গুরুত্বের সাথে দেখা হয়ে থাকে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url