তীব্র গরমে সুস্থ থাকার উপায় সমূহ


আমরা সকলেই জানি এপ্রিল ও মে মাস জুড়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল নিয়ে বেড়ে যাচ্ছে তিব্র তাপ্প্রবাহ। এই তিব্র গরমের কারণে মানুষ নানা ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে, বিশেষ করে শিশুরা। তাই আমাদের সকলের উচিত গরমে নিজের এবং শিশুদের বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখা জেনো কোনো ভাবে অসুস্থ হয়ে না পরে।
তীব্র-গরমে-সুস্থ- থাকার-উপায়-সমূহ


এই তিব্র গরমে নিজেকে সুস্থ রাখা জরুরি। আর আই গরমে সুস্থ থাকার জন্য বিভিন্ন ভাবে পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। তিব্র গরমে স্বাস্থ্যর অপর যে পরিমান প্রভাব পড়ে, এতে পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে।

পেজ সূচিপত্রঃ তিব্র গরমে সুস্থ থাকার উপায় সমূহ


তিব্র গরমে সুস্থ থাকার উপায় সমূহ

তিব্র গরমে সুস্থ থাকার উপায় সমুহ বলতে আমরা এই গরমে তিব্র তাপের হাত থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন পথ অবলম্বন করে থাকি। প্রচণ্ড গরমের কারনে আমাদের শরিরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে পানিশূন্যতা। তাছাড়াও এই গরমের কারণে মানুষের শরিরে মারাত্মক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এই গরম কালে বিশেষ করে বয়স্ক মানুষ ও বাচ্চাদের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। কারণ প্রচণ্ড গরমের ফলে মানুষের মৃত্যুর ঝুকি বেড়ে যাই। তাই মৃত্যুর ঝুকি থেকে বাচার জন্য বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। ছায়াযুক্ত স্থানে থাকতে হবে। সেলায়িন যুক্ত পানি পান করতে হবে। বেশি বেশি ঠাণ্ডা সবজি খেতে হবে এবং পাতলা কাপড় পরিধান করতে হবে।

প্রচণ্ড গরমের হাত থেকে বাচার জন্য বাহিরে রোদে বের না হওয়াই ভালো তবে বিশেষ প্রয়জনে যদি বের হন তাহলে অবশ্যই সাথে করে ছাতা ও পানির বোতল নিতে হবে। এতে করে শরিরে রোদের তাপ কম পড়বে আর গরম ও কম লাগবে।হাটে বাজারে বা মাঠে কাজ করতে গেলে গামছা ভিজিয়ে সাথে রাখতে পারেন এতে করে কিছুটা আরাম পাবেন। প্রচণ্ড গরমে বাহিরের খাবার যত কম খাওয়া যাই ততই ভালো। বিশেষ করে তেলের জিনিস খাওয়া যাবে না। এতে শরীর অসুস্থ হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে। তাই বাহিরের খাবার যত কম খাওয়া যাই তত ভাল।

তিব্র গরমে শিশু ও কিশোর, গর্ববতি মহিলা, বয়স্ক ও অসুস্থ মানুষ, খেটে খাওয়া ও শ্রমিক মানুষের জন্য খুবি ঝুঁকিপূর্ণ । তাই সকলকেই এই গরমে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এই গরমের জন্য মানুষের শরির থেকে অনেক পরিমান ঘাম বের হয়ে যাই। আর এই ঘাম বের হওয়ার কারনে শরিরে পানিশূন্য দেখা দেই। তাই বেশি করে তরল খাবার বা পানিয় খাবার খেতে হবে। এ জন্য বিভিন্ন ফলের জুস, লেবুর রস, চিনির শরবত, ডাবের পানি ও স্যালাইনের পানি বার বার খেতে হবে। যেন শরিরের পানির ঘাড়টি পূরণ হয়।

প্রচণ্ড গরম শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যাক্তি অনেক সময় এটা অনুধবন করতে পারে না তাই এই সকল মানুষের প্রতি বিশেষ নজর রাখতে হবে। খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহিরে বের না হওয়াই ভালো। বিশেষ করে যারা হৃদরোগ, লিভার, জন্ডিস ও কিডনির রোগ আছে যাদের। একটানা রোদে কাজ করা যাবে না। কিছুক্ষণ পর পর ছায়া যুক্ত স্থানে বিশ্রাম নিতে হবে। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত রোদের তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে তাই এ সময় বাহিরের কাজ কমিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে।

গরমে ত্বকের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি তাই একটু পর পর ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিতে হবে। প্রয়োজনে ভেজা গামছা বা নরম নেকড়া দিয়ে শরির মুছে নিতে পারেন। বাহিরে বের হওয়ার সময় সান্সক্রিম ও সানগ্লাস পরে বের হতে হবে। সাথে ছাতা ও পানির বোতল নিতে বের হতে হবে। এ সময় যত কম সময় বাহিরে কাটানো যাই তত ভালো। গরমের সময় অতিরিক্ত টাইট বা মোটা পোশাক পরিধান করা যাবে না।

গরমে ঘর ঠাণ্ডা রাখার কিছু কার্যকরী উপায়

 শোয়ার রুমে টিভি ফ্রিজ না রাখাই ভালো এতে করে ঘর ঠান্ডা থাকবে। এবং গরম কম লাগবে।একটি বড় গামলায় কিছু বরফ নিতে হবে এবং সেটি ফ্যানের সামনে রেখে দিতে হবে। তারপর ফ্যান ছাড়লে একটা ঠান্ডা বাতাস অনুভব করবেন। ঘরের জানালা দরজা খুলে রাখতে হবে যেন ঘরে বাহিরের আলো বাতাস ঢুকতে পারে। মুছে দিতে হবে তারপর ফ্যান ছাড়তে হবে তাহলে আস্তে আস্তে ঘর ঠান্ডা হতে থাকবে। অপ্রয়োজনে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করা যাবে না। যত বেশি ইলেকট্রনিক্স ব্যবহার করা হবে তত বেশি ঘর গরম হতে থাকবে। ঘরে যদি ফ্রিজ, টিভি এইসব চালানো হয় তাহলে ঘর গরম হতে থাকে। 

গরমে বিছানার জন্য হালকা রংয়ের চাদর এবং জানালাতে ভারি পর্দা ব্যবহার করতে হবে। বিছানা চাদর সুতি কাপড়ের হতে হবে নরম মূল্যায়ন ও মসৃণ। বাড়ির আশেপাশে প্রচুর গাছ লাগান যদি সম্ভব হয় রুমের মাঝেও ছোট ছোট টবে গাছ লাগাতে পারেন। এতে করে হালকা বাতাস পাবেন। ঠান্ডা আবহাওয়া বাতাস বইবে। রুমের লাইট সব সময় অফ রাখার চেষ্টা করতে হবে। জানলা দরজা খোলা রেখে হালকা করে ফ্যান ছেড়ে রাখতে হবে যেন রুমের গরম হাওয়া বাহিরে বেরিয়ে যায় এবং বাহিরে ঠান্ডা আবহাওয়া রুমে প্রবেশ করতে পারে। এতে করে খুব সহজে রুম ঠান্ডা থাকবে।

খেয়াল রাখতে হবে রান্নাঘরের আশেপাশে শোয়ার রুম যেন না হয়। কারণ, রান্নাঘরের রান্নার জ্বালানি থেকে গরম হাওয়া রুমে প্রবেশ করতে পারে। এই দিক অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। রান্না করার সময় রান্না ঘরের জানালা অবশ্যই খুলে রাখতে হবে যেন রান্না ঘরের গরম হাওয়া বাহিরে বেরিয়ে যেতে পারে। আপনি যদি পর্দায় ঠান্ডা পানি স্প্রে করেন বা পর্দার ওপরে ভেজা চাদর ঝুলিয়ে দেন তাহলে সেই পানি বাষ্পীভূত হয়ে ঘর কিছুটা শীতল হবে। পর্দার বাইরের দিকে বাজে অংশে সূর্যের দিকে থাকে সেদিক সাদা কাপড় সেলাই করা থাকলে বা আরেকটি পর্দা থাকলে সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয়ে ঘর ঠান্ডা থাকবে।

যতক্ষণ পর্যন্ত সূর্যের তাপ থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত জানালা দরজা বন্ধ রাখাই ভালো। তবে সূর্যাস্তের পর যখন পরিবেশ কিছুটা ঠান্ডা হবে তখন জানালা দরজা খুলে দিলে ঘর আস্তে আস্তে ঠান্ডা হতে শুরু করবে। তখন পর্দা সরিয়ে দিলে ঘরের শীতল বাতাস ঢুকতে থাকবে। এতে করে ঘর অনেক টাই ঠান্ডা হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘরের জানালা দরজা কিছুক্ষণ খুলে রাখতে হবে। এতে করে ঘরের গরম হাওয়া বেরিয়ে যাবে। আবার যখন সূর্য উঠতে থাকবে বা সূর্যের তাপ পড়তে থাকবে তখন সব জানালা বন্ধ করে দিতে হবে যেন বাহিরে তাপ ঘরে প্রবেশ করতে না পারে বিশেষ করে শোবার রুমে।

জানালার ওপরে বিশেষ করে যদি স্থান সেপ থাকে তাহলে রোদের তাপ অনেকটাই আটকে যায়। এতে করে খুব বেশি রোদের তাপ ঘরে প্রবেশ করতে পারে না। সানসেট না থাকলে জানার উপরেই হালকা করে ছাউনি দিতে পারেন তাহলে কিছুটা ছায়ার ব্যবস্থা হবে। এতে অনেকটা ছায়া যুদ্ধ স্থানের মত হবে যেটাতে সূর্যের তাপ পড়বে না। ঘরে এমন আসবাবপত্র না রাখাই ভালো যে সব আসবাবপত্রের রং অনেক গাঢ় হয় যার দ্বারা আলো শোষণ করে এবং তাপমাত্রা বেড়ে যায়। সব সময়ের জন্য হালকা রং আসবাবপত্রে রাখার চেষ্টা করতে হবে যেন তাপ শোষণ করতে না পারে।

তীব্র গরমে যেসব শারীরিক সমস্যা হতে পারে

তীব্র গরমের কারণে মানুষের শরীরে নানান ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এসব সমস্যার কারণে মানুষ মৃত্যুর ঝুঁকিতেও পড়ে। এ গরমে সব সময় ঠান্ডা ও ছায়াযুক্ত স্থানে থাকার চেষ্টা করতে হবে যেন গরম কম লাগে। প্রচন্ড গরমের কারণে মানুষের যে সমস্যাটা বেশি দেখা দেয় সেটা হল হার্টের সমস্যা। কারণ তাদের একটু গরম লাগলেই হার্টের সমস্যায় বেড়ে যায় ফলে হার্ড স্টোক করা সম্ভবনা থাকে। তাই হার্টের রোগীর জন্য সব সময় ছায়াযুক্ত স্থান বেশি বেশি পানি পান করা, পাতলা কাপড় পরিধান করা যেন গরম না লাগে এই দিকটা খেয়াল রাখতে হবে।

অতিরিক্ত গরমের কারণে মানুষের শরীর অনেক হিট হয়ে যায় এবং মানুষের শরীরে তাপমাত্রা বেড়ে যায় আর এই সময় নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় এবং শ্বাসনালী ফুলে যায় যার কারণে রক্ত জমাট হয়ে যায়। এগুলো সমস্যার জন্য মানুষ হৃদপিণ্ড স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারে না। তাই সব সময় সাবধান থাকতে হবে যেন কোনোভাবে গরম বা তাপমাত্রা শরীরে না ওঠে। অতিরিক্ত গরমের ফলে মানুষের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় যেমন হাত পায়ে চুলকানি, মাথা ব্যথা, মাথার চুল উঠে যাওয়া, শ্বাসকষ্টের সমস্যা ইত্যাদি। গরমের ফলে এগুলো সমস্যা অনেক মানুষের দেখা দেয়।

প্রচন্ড গরমের কারণে মানুষের শরীর থেকে যে পরিমাণ ঘাম বের হয়ে যায় এতে করে মানুষের শরীর পানি শূন্য হয়ে পড়ে। পানির ঘাটতি পূরণ করতে ডাবের পানি, বিভিন্ন ফলের রস, লেবুর রস, স্যালাইন পানি, শরবত বেশি বেশি করে খেতে হবে। যেন শরীরের পানি শূন্যতা পূরণ হয়ে যায়। বিশেষ করে যাদের কিডনির সমস্যা আছে হার্টের সমস্যা আছে এসব রোগীদের জন্য বিশুদ্ধ পানি পান করা অনেক জরুরী। অতিরিক্ত গরমের ফলে ডায়রিয়া হতে পারে এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে। যেসব খাবার খেলে গরম কম লাগবে এগুলো খাবার বেশি বেশি খেতে হবে।

এই গরমে যত বেশি বাহিরে কম কাটানো যায় ততই ভালো। কারণ গরম লাগার ফলে এলে যখন তাপমাত্রা বেড়ে যায় তখন মানুষের শরীর কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এতে করে শরীর নিস্তেজ হয়ে পরে। শরীরের সব অংশ কাজ করা বন্ধ করে দেয়। তাই এই গরমে পাতলা কাপড় পরিধান করতে হবে যেন গরম কম লাগে। সরাসরি সূর্যের তাপ শরীরের না লাগানোই ভালো। এতে করে শরীরের নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। আমরা গরমের হাত থেকে বাঁচার জন্য সব সময় ঠান্ডা খাবার, ও ছায়াযুক্ত স্থানে থাকার চেষ্টা করব। বাহিরে বের হওয়ার সময় অবশ্যই সঙ্গে করে ছাতা নিয়ে বের হতে হবে। এবং পানির বোতল কাছে রাখতে হবে।

প্রচন্ড গরমের ফলে আমাদের শরীরের রক্তচাপ কমে যায় যার ফলে আমাদের হার নিজে থেকে কাজ করা বন্ধ করে দেয়। স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করতে পারে না এর ফলে হার্ট স্ট্রোক হতে পারে। এছাড়াও গরমের কারণে শরীরে লালচে ভাব দেখা দেয়। বিভিন্ন জায়গায় চুলকানির মত ও ফুসকুড়ির মত বের হয়। অতিরিক্ত গরমের ফলে আরো অন্যান্য রোগও দেখা দেয়। যেমন, মাথা ঘোরানো, মাথার ভেতরে চক্কর দেওয়া, শরীর থেকে অনেক ঘাম বেরিয়ে যাওয়া, প্রচন্ড ভারী হয়ে যাওয়া , শরীর ক্লান্তি অনুভব হওয়া ইত্যাদি। এই সকল সমস্যা প্রচন্ড গরমের ফলে দেখা দিতে পারে।


প্রচন্ড গরমের যেসব খাবার খাওয়া উচিত

তীব্র গরমে আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে কিছু নিয়ম ও খাবার তালিকা মেনে চলতে হবে। তাই এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খাবার খাওয়ার ফলে আমাদের শরীর অনেকটা শীতল ও ঠান্ডা হয়ে থাকবে। যা এই গরমে আমাদের শরীরের জন্য খুবই ভালো। তাহলে চলুন আমরা জেনে নেই যে এই গরমে কি খাবার খেলে শরীর সুস্থ ও ভালো থাকবে। শরীর সুস্থ রাখতে খাবারের কোন বিকল্প নেই তবে বিশুদ্ধ খাবার খেতে হবে যে খাবার খেলে আমাদের শরীরের কোন ক্ষতি হবে না।

প্রচন্ড গরমে আপনাকে যে খাবারটি প্রথম তালিকায় রাখতে হবে সেটি হল বিশুদ্ধ পানি। প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে নিজেকে সুস্থ রাখতে হলে প্রতিদিন তিন থেকে চার লিটার পানি পান করতে হবে এতে করে আপনার শরীরে কোন বিশেষ ধরনের রূপ দেখা দিবে না। এবং আপনার শরীর সতেজ ও সুন্দর থাকবে। বিশুদ্ধ পানি বলতে টিউবওয়েলের এবং ট্যাংকের কোন পানি পান করা যাবে না ট্যাংকের পানিতে অনেক নোংরা থাকে গরম হয়ে যায়। তাই খেয়াল রাখতে হবে অবশ্যই যেন আমরা দিয়ে পানি পান করব সে পানি বিশুদ্ধ পানি হয়।

পানি ঠান্ডা রাখতে আমরা একটি বন্ধ অবলম্বন করতে পারি সেটি হল মাটির কলস। মাটির কলসে পানি যেমন সংরক্ষণ থাকে তেমন ঠান্ডা থাকে। এ পানিতে যদি আয়রন থাকে তাহলে মাটির কলশে তার শুষে নাই আর পানি বিশুদ্ধ হয়ে যায়। তাই আমরা চেষ্টা করব মাটির কলসে পানি রেখে সেই পানি পান করা। পানি খেলে আমাদের ত্বক অনেক ভালো থাকে। পানি পান করার কোন বিকল্প নেই। কারণে অকারণে আপনি পানি পান করতে পারেন তবে পানি হতে হবে বিশুদ্ধ পানি। যে পানি পান করলে আপনার শরীরের কোন ক্ষতি হবে না। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করতে চাইলে আপনি ফ্রিজে রেখে কিছুক্ষণ পরে ঠান্ডা করে সেই পানি পান করতে পারেন।

প্রচন্ড গরমে আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে ভিটামিন যুক্ত খাবার খেতে হবে। বিশেষ করে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেলে আমাদের শরীর এবং ঠান্ডা থাকবে। এতে করে গরম কম লাগবে গরম পাওয়া যাবে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ফলমূল খাবেন যেমন, তরমুজ, শসা, বাঙ্গি, বেলের শরবত, ডাবের পানি ও বিভিন্ন ফলের রস জুস করে খেতে পারেন। এতে আপনার শরীর যতটা সচেত থাকবে ততটাই সুস্থ থাকবে। শরীর সুস্থ থাকলে আপনার মন ভালো থাকবে আর আপনার মন ভালো থাকলে সবকিছুই ভালো লাগবে।

প্রচন্ড গরমে নিজেকে সুস্থ রাখতে হলে বাহিরের খাবার কম খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার কম খেতে হবে। মাংস এবং তেলের পরিমাণ একটু বেশি থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর বিশেষ করে গরমের জন্য। ফাস্টফুড জাতীয় খাবারের ফলে আমাদের শরীরে অনেক টেম্পারেচার বেড়ে যায়। খাবারগুলি হল মাংস, হাঁসের গোস্ত, মুরগির গোস্ত, ডিম, গরুর মাংস ইত্যাদি। এগুলো খাবার খেলে গরম বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এসব খাবার থেকে অতিরিক্ত গরমে বিরত থাকাই ভালো। গরমে যত কম খাবার খাওয়া যায় ততই শরীরের জন্য ভালো।

 প্রচন্ড গরমে আমাদের শরীরে অনেক ভিটামিন কমে যায় ভিটামিন ই কমে যাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের চাহিদা অনেকটাই বেড়ে যাই। পূরণ করতে বিভিন্ন ধরনের রঙিন শাকসবজি, টক জাতীয় খাবার, ফলমূল ও মিষ্টি ফল এগুলো খাদ্য তালিকায় রাখাটা খুবই জরুরী। ভিটামিনের অভাবে শরীরে নানা ধরনের রূপ দেখা দেয় তাই খাবারের তালিকায় ভিটামিনযুক্ত খাবার খেতে হবে যেন শরীর কোনরকম চাহিদা অপূর্ণ না থাকে।

এই গরমে আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া খুবই জরুরী। যেমন ভাত, পাতলা দুধ, ছোট মাছ, তরমুজ, লাউ, শসা ইত্যাদি। এই সব ধরনের সবজি ও ফলমূল আমাদের শরীরের প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি বা অন্যান্য ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে। অবশ্যই ভিটামিনযুক্ত খাবার বেশি বেশি খাওয়া উচিত। গরমকালীন শাকসবজি অনেক রকমের পাওয়া যায় তাই আমাদের সব রকমের সবজি খাওয়া দরকার। এছাড়াও আমাদের শরীরে শর্করার চাহিদা মেটাতে ভাত, সবজি, ডা্‌ল লেবু বেল লাল শাকসবজি, সবুজ শাকসবজি ইত্যাদি জাতীয় খাবার আমাদের শরীরে চাহিদা পূরণের জন্য খাওয়া খুবই জরুরী।

তিব্র গরমে যেসব খাবার খাওয়া ঠীক না

সকলে জানি প্রচন্ড গরমের ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এ ধরনের সমস্যা দেখা দেওয়ার কারণ হচ্ছে আমাদের খাদ্য তালিকা সঠিকভাবে পালন করি না তাই। কিছু কিছু খাবার রয়েছে যা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। প্রচন্ড গরমে এমন খাবার খাওয়া যাবে না যেগুলো খাবার খেলে আমাদের শরীর উত্তপ্ত হয়ে পড়ে এবং তা থেকে আমাদের হৃৎপিণ্ড সমস্যা শুরু হয়। জাতীয় রোগের জন্য এ সকল খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। তাছাড়া বিভিন্ন হার্টের রোগী আছে ভার্টের সমস্যা আছে তারা এসব খাবার থেকে সব সময় বিরত থাকবেন।

কেননা আপনি যদি খাবারগুলো খান তাহলে আপনার শরীর এই গরমে আরো হিট হয়ে যাবে। আর শরীর হিট হওয়ার ফলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই যেসব খাবার খেলে শরীর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলে যাবে সেসব খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। তো চলুন সেসব খাবার সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানি যেমন, গরুর মাংস খাসির মাংস হাঁসের মাংস মুরগির মাংস হাঁসের ডিম মুরগির ডিম দুধ ইত্যাদি আপনি যদি এই সকল খাবার গরমে খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার শরীর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিবে। তাই এই গরমে এসব খাবার একটু কম খাওয়াই ভালো।

গরমের সময় মানুষের শরীর হজম শক্তি কমে যায়। তাই যে সব খাবার খেলে হজম হতে সমস্যা হবে সেসব খাবার খাওয়া যাবেনা হজম শক্তি কমে যাওয়ার ফলে সব ধরনের খাবার খেলে হজম একটু দেরিতে হয় তাই আপনি এসব খাবার তালিকা থেকে এড়িয়ে চলুন। গর্ভাবস্থায় খাবার খুব সাবধানে খেতে হবে। বুঝে শুনে খাবার খেতে হবে কারণ সব খাবার খেলে গ্যাসের প্রভাব পড়তে পারে তাই আপনার উপরে এসব জাতীয় খাবার থেকে সবসময় নিজেকে গরমের সময় বেরোতে রাখবেন। তাই বিশেষ করে গরমের সময় লাল শাক সবুজ শাক বিভিন্ন ধরনের সবজি যা শরীরকে ঠান্ডা ও সতেজ রাখবে এসব খাবার খেতে হবে।

তিব্র গরমে আমরা যেগুলো খাবার এড়িয়ে যাবো তা হলো-
অধিক মশলা যুক্ত খাবার
অতিরিক্ত চা-কফি
ফাস্টফুড বা বাহিরের খাবার
ডুবো তেলের ভাজা খাবার
ডিম 

অতিরিক্ত খাবার খাওয়া ঠিক না তাই আমরা যাই খাই না কেনো পরিমান মত খাব। অধিক মশলা যুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে পেটে নানা রকমের সমস্যা দেখা দেই তাই তিব্র গরমে সুস্থ থাকার জন্য ভুলেও আমরা অধিক মশলা যুক্ত খাবার খাবো না। কারন গরমের সময় আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের হজম শক্তি কমে যাই যার ফলে আমাদের খাবার হজম হতে অনেক সময় লাগে। তাই আপনি যদি এসব খাবার খান আপনার শরির অনেক হিট হয়ে যেতে পারে এবং প্রচণ্ড গ্যাসের প্রভাব পড়বে। তাই প্রচণ্ড গরমের মধ্যে এসব খাবার থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। শুধু মাত্র সবুজ ও লাল শাক সবজি খেয়ে নিজেকে সতেজ রাখুন।
তীব্র-গরমে-সুস্থ- থাকার-উপায়-সমূহ


তিব্র গরমের সময় কাল সমূহ

আমরা সকলেই জানি বাংলাদেশে এপ্রিল হলো সবচেয়ে উত্তাপময় মাস। কারণ এই মাসে পৃথিবী সূর্যরশ্মি থেকে লম্বালম্বি ভাবে কিরণ পায়। আমরা কম বেশি সকলেই জানি সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবী তার নিজ কক্ষপথে ঘোরে। এপ্রিল মাসে এই সময়টাতে পৃথিবীর ভৌগলিক অবস্থানের কারনে সূর্য পৃথিবীর কাছাকাছি থাকে। এতে করে গরমের মাত্রাটাও বেড়ে যায়। আমরা প্রত্যেকে জানি  গ্রীষ্মকাল মানেই গরমের সময়। মে,জুন ও জুলাই মাস জুড়ে প্রচণ্ড গরম বা গ্রিস্মকালের অন্তর্ভুক্ত। 


হিট স্ট্রোক কি? হিট স্ট্রোক কেন হয়?

অতিরিক্ত গরমে শরিরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন ক্ষমতা হারিয়ে ফেললে তাকে হিট স্ট্রোক বলে। হিট স্ট্রোকের ফলে শরিরের কার্য ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। হিট স্ট্রোকের ক্ষতিকর দিকগুলো এতটাই বেশি যে প্রতি বছর হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে বহু মানুষ মারা যাই। যাদের হিট স্ট্রোকের সম্ভবনা বেশি তারা হলোঃ শিশু, বয়স্ক বেক্তি, প্রতিবন্ধি বেক্তি, অতিরিক্ত ওজনে ভুগছেন যারা, হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত বেক্তি, শ্রমজিবি মানুষ বা যারা দীর্ঘদিন যাবত রোদে কাজ করে যাচ্ছেন। 

হিট স্ট্রোক যে কারনে হয় তাহলো, অতিরিক্ত গরম লাগার ফলে মুলত এই হিট স্ট্রোক হয়ে থাকে। প্রচণ্ড গরমের ফলে শরিরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনে বেবস্থা বন্ধ হয়ে গিয়ে শরিরের তাপ বেড়ে যাই। হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে মাথা বেথা, মাথা ঘোরা ও চোখ ঝাপসা হয়ে আসতে পারে। অস্বাভাবিক দুর্বলতা, মাংসে টান ও বমি অনুভব হয়। এমনকি শেষ পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে বা খিচুনি হওয়ার সম্ভবনা থাকে। তাই এই প্রচণ্ড গরমে সবাইকে সাবধানে চলাফেরা করতে হবে। আতে করে বিপদের কোন আসঙ্খা থাকবে না।

হিট স্ট্রোক বেক্তিকে প্রাথমিক ভাবে যা করবেন তা হলোঃ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত বেক্তিকে অপেক্ষাকৃত ঠাণ্ডা জায়গাই নিয়ে গিয়ে শরির থেকে যতটুকু সম্ভব কাপড় খুলে ফেলতে হবে। যথাযথ সম্ভব মাথাই পানি ঢালতে হবে। ফ্যান বা এসির বেবস্থা থাকলে তা দ্রুত চালু করে দিতে হবে। তা না হলে হাত পাখা দিয়ে রোগীর শরিরে বাতাস করতে হবে। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে রুগীর শরির মুছে দিতে হবে। অতি দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বেবস্থা করতে হবে রোগীকে।

হিট স্ট্রোকের লক্ষণ ও তার প্রতিরোধের উপায়

হিট স্ট্রোক সম্পর্কে আমরা অনেকেই পর্যাপ্ত তথ্য জানিনা।আর এ জন্যই অসচেতনতার কারণে এই গরমে মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা থাকে। নিচে হিট স্ট্রোক এর লক্ষন গুলো দেওয়া হলোঃ
মাথা ব্যাথাঃ অতিরিক্ত গরমের ফলে মানুষের মাইগ্রেন ট্রিগার করে। যার ফলে মাথা ব্যাথা বেড়ে যাই। 
বমি হওয়াঃ প্রচণ্ড গরমের কারণে যদি বমি বমি ভাব হয় তাহলে এটি হিট স্ট্রোকের লক্ষন।
শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যাঃ হিট স্ট্রোকের সময় হৃদপিণ্ড দ্রুত স্পন্দন করে। এতে করে শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা হয়।
অল্পতে হাপিয়ে ওঠাঃ শরিরে অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব করা এবং এতে করে অল্পতেই হাপিয়ে উঠা হিট স্ট্রোক এর লক্ষন।
ত্বক লালচে হয়ে যাওয়াঃ শুধু ত্বক লালচে হয়ে যাওয়াই নয় বরং ত্বকে জালাপোড়া সমস্যা ও ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া ও হিট স্ট্রোকের লক্ষন।
ঘাম বন্ধ হয়ে যাওয়াঃ হিট স্ট্রোকের রুগীদের প্রচণ্ড গরম লাগলেও তাদের শরির থেকে ঘাম নির্গত হয় না। প্রচণ্ড গরম লাগা সর্তেও যদি শরির না ঘামে তাহলে অবশ্যই সতর্ক থাকবেন।
প্রসাবের পরিমান কমে যাওয়াঃ অতিরিক্ত গরমের কারনে মানুষের শরির অনেক ঘেমে যাই। আর এই ঘাম শরির থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কারনে শরিরের পানি কমে যাই যার ফলে প্রস্রাবের পরিমান কমে যাই। 
তাই হিট স্ট্রোকের প্রতিরোধের উপাই হলোঃ 

পর্যাপ্ত পরিমান বিশুদ্ধ পানি পান করা
  • যতটা সম্ভব সরাসরি রোদের তাপ থেকে দূরে থাকা
  • দুপুরের টনটনে রোদে বাচ্চাদের খেলাধুলা থেকে বিরত রাখা
  • প্রচণ্ড রোদের তাপ থেকে এসে ফ্রিজের পানি পান না করা
  • ঢিলে ঢালা বা পাতলা সুতির পোশাক পরিধান করা
  • আল্কাহল যুক্ত খাবার বা চা কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকা
  • প্রতিদিন ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করা এবং তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করে দিনে ২বার গসল করতে পারেন।
  • প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সবুজ শাক সবজি এবং রসালো ফল রাখুন
  • খুব সহজেই হজম হয় এমন খাবার খান
এই গরমে নিজের ও আপনজনদের যত্ন নিন। সচেতন থাকুন এবং ওপরের দেওয়া নির্দেশ গুলো মেনে চলার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে বাচ্চা ও বয়স্ক লোকজনদের যত্ন নিন কারন তাদের হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে।

তিব্র গরমে ত্বকের যত্নে করনীয়

আমরা কমবেশি সকলেই জানি যে তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে যেন ত্বকের সমস্যাও বাড়তে থাকে। ত্বক জালাপোড়া করা, ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, লাল লাল দাগ দেখা দেওয়া সহ নানা রকমের সমস্যা দেখা যাই। আবার অনেকের মুখে পিম্পল ওঠে তো গরম পড়ার সাথে সাথেই জেনো এই পিম্পলের আগমন ও শুরু হয়। তাই চলুন এই প্রচণ্ড গরমে কিভাবে ত্বকের জত্ন নিবেন তা জেনে নেওয়া যাকঃ
  • পর্যাপ্ত পানি পান করা
  • নিয়মিত ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করা
  • আবহাওার অপর নির্ভর করে দিনে ২ বার গোসল করা
  • সান্সক্রিম ব্যাবহার করা  ও সানগ্লাস ব্যবহার করা
  • বাহির থেকে এসে ঠাণ্ডা পরিস্কার পানি ও ফেসওয়াস দিয়ে মুখ ধোওয়া
  • সপ্তাহে অন্তত ৩দিন চুলে শাম্পু করা
  • ত্বক রিফ্রেশমেন্টের জন্য শসা এবং আলু ব্লেন্ড করে ফ্রিজে আইস কিউব বানিয়ে রাখতে পারেন
  • বাহির থেকে এসে একটি পাতলা কাপড়ে মুড়িয়ে নিয়ে ত্বকে এটি ব্যেবহার করতে পারেন। এটি আপনার ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করবে সাথে একটা আলাদা রকম রিফ্রেশমেন্ট ফিল পাবেন।
অতিরিক্ত গরমের জন্য ত্বকের নানান রকম সমস্যা দেখা দেই তাই এই সমস্যার হাত থেকে বাচার জন্য আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমানে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে কারন পানি পান করার ফলে আমাদের শরিরের পানি সুন্নতা দূর হয়ে যাবে এবং ত্বককে সতেজ রাখবে।সব সময় ছায়াজুক্ত স্থানে বসবাস করতে হবে আর বাহিরে বের হওয়ার সময় ছাতা নিয়ে বের হতে হবে। সান্সক্রিম বেবহার করতে হবে যেন রোদের তাপ ত্বকের কোন ক্ষতি করতে না পারে। সাথে সানগ্লাস  পরে বের হলে খুবি ভাল হয় কেন না সানগ্লাস সূর্যের তাপ অনেকটাই প্রটেক্ট করে।

এই গরমে ত্বকের যত্ন নিতে অবশ্যই ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। তবে প্রয়জনে দিনে ২ বার ও দেওয়া যেতে পারে। অতিরিক্ত গরমের ফলে শরিরে ঘামাচি বের হতে পারে। তাই সব সময়  বাতাস যুক্ত জাইগায় অবস্থান করতে হবে। সম্ভব হলে পাতলা কাপড় ভিজিয়ে পুরো শরির মুছতে হবে। এতে করে শরির ঠাণ্ডা থাকবে এবং ঘামাছি মুক্ত থাকবে। এই গরমে ত্বকের যত্ন নেওয়া খুবই প্রয়োজন।

আরো পড়ুনঃ এসি কেনার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন 

প্রচণ্ড গরমে সুস্থ থাকার ১০টি উপায়

প্রচন্ড গরমের ফলে আমাদের শরীরের উপর বিভিন্ন রকমের প্রভাব পড়ে যার ফলে আমাদের শরীরে পানি শূন্যতা দেখাতেই এছাড়াও আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক রোগ ও হতে পারে এই গরমের কারণে আমাদের শরীরে এমন রোগ হতে পারে যেগুলোর কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই আমাদের প্রত্যেককে জানতে হবে প্রচন্ড গরমে সুস্থ থাকার জন্য যে ১০ টি উপায় আছে তার সম্পর্কে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক এই গরমে সুস্থ থাকা ১০ টি উপায় সম্পর্কে

১। প্রচন্ড গরমের হাত থেকে বাঁচতে আমাদের প্রত্যেকদিন কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ লিটার পানি পান করতে হবে পানি পান করার ফলে আমাদের শরীর ঠান্ডা ও সতেজ থাকে এবং বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ফলে ত্বক ও ভালো থাকে।

২ আপনি যদি শ্রমজীবী মানুষ হয়ে থাকেন বা মাঠে ঘাটে কাজ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে গামছা ভালোভাবে ভিজিয়ে নিয়ে সেটা আপনার শরীরে পেচিয়ে রাখতে হবে ফলে আপনার ত্বক ও শরীর ঠান্ডা ও সতেজ থাকবে।

৩। দেখা দিতে পারে আর এই রোগ থেকে বাঁচার জন্য অবশ্যই আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। এমনকি পানি জাতীয় ফল খেতে হবে এবং ডাবের পানি ও খেতে পারেন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করলে পানি শূন্যতা দূর হয় সাথে স্যালাইন পানিও পান করতে পারেন।

৪। অতিরিক্ত গরমের সময় আমরা সব সময় খেয়াল রাখবো যেন বাহিরের খাবার কম খাওয়া হয় কারণ অতিরিক্ত গরমের ফলে বাইরের খাবার গুলো নষ্ট হয়ে যায় আর সেই খাবারগুলো খাওয়ার ফলে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি। তাই সুস্থ থাকতে বাহিরের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

৫। অতিরিক্ত গরমের সময় আমরা তেল ও মসলাযুক্ত খাবার কম খাওয়ার চেষ্টা করব। কারণ গরমের সময় আমাদের হজম শক্তি কিছুটা কম কাজ করে। যার ফলে খাবার হজম হতে সময় লাগে। তাই আমাদের সব সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন আমরা কম খাবার খাই আর আমাদের হজমটা খুব ভালোভাবে হয়। এতে করে আমাদের স্বাস্থ্যের কোন ক্ষতি হবে না।
তীব্র-গরমে-সুস্থ- থাকার-উপায়-সমূহ


৬। আমরা সকলেই কমবেশি জানি যে সকাল দশটা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত তাপমাত্রা বা রোদ একটু বেশি থাকে তাই এই সময়টাতে আমাদের অতিরিক্ত বাহিরের কাছ থেকে বিরত থাকতে হবে। আমাদের যা কাজ হবে তা রোদ কম করার আগেই ছাড়তে হবে যেন অতিরিক্ত রোদ আমাদের শরীরে না পড়ে।

৭। এই গরমের সময় আমরা চেষ্টা করব কলে ঠান্ডা পানি পান করা ট্যাংকের পানি কোনোভাবেই পান করা যাবে না কারণ কিছু কিছু সময় দেখা যায় ট্যাংকের পানি অনেক নোংরা থাকে। এই নোংরা আমাদের শরীরে প্রবেশ করলে শরীরের অনেক ক্ষতি হতে পারে তাই বিশুদ্ধ ঠান্ডা পানি পান করা খুবই জরুরি।

৮। অতিরিক্ত গরমে নিজেকে সুস্থ রাখতে একটু বেশি বেশি ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেতে হবে ভিটামিন সি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীর ঠান্ডা এবং সতেজ থাকে এবং এই তীব্র গরমে মাছ মাংস না খেয়ে শাকসবজি একটু বেশি করে খেলে শরীর ভালো থাকে। তাই আমরা চেষ্টা করব বেশি বেশি ভিটামিন সি ও ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়া।

৯। আপনি যদি গরমের সময় বাহিরে যাওয়ার প্রয়োজন হয় অবশ্যই আপনি সাথে করে এক বোতল পানি তার সঙ্গে ক্যাপ, টুপি, ছা্তা, চশমা ইত্যাদি নিয়ে অবশ্যই বের হবেন যাতে করে আপনার শরীরে রোদে তাপমাত্রা কম পড়ে।

১০। অতিরিক্ত গরমের কারণে আপনার যদি হেট স্ট্রোকের মতো কোনো রোগের লক্ষণ দেখা দেয়। তাহলে অবশ্যই আপনাকে বেশি বেশি পানি পান করতে হবে নয়তো আপনার শরীরে পানি শূন্যতা রং দেখা দিতে পারে।

শেষ কথাঃ তীব্র গরমে সুস্থ থাকার উপায় সমূহ

তীব্র গরমের সুস্থ থাকার উপায় সমূহ সম্পর্কে যাটি লিখা হয়েছে এই আর্টিকেলটা আপনি অনেক ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ। এই আর্টিকেলে গরমে সুস্থ থাকার উপায় সম্পর্কে যে তথ্যগুলো দেওয়া আছে সে সমস্ত উপায় অনেকটাই বিশ্বস্ত। এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ে থাকলে আপনি অবশ্যই উপকৃত হবেন। তীব্র গরমের সুস্থ থাকা আমাদের জন্য খুবই দরকারি। তাই ওপরের দেওয়া নির্দেশনা গুলো যদি আমরা মেনে চলতে পারি তাহলে অবশ্যই এটি তীব্র গরমে আমরা সুস্থ থাকবো। নিজের যত্ন নিবেন এবং আপনার প্রিয়জনের যত্ন নিবেন। নিজে সুস্থ থাকুন এবং আপনার প্রিয়জনদের সুস্থ রাখুন।








এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url